সেবা শব্দটির অর্থ হচ্ছে যত্ন বা শুশ্রুষা। সেবার আর একটি অর্থ পরিচর্যা। পরম মমতায় অপরের পরিচর্যা করাকে সেবা বলে। এটি মানুষের একটি বিশেষ গুণ। সেবা পরম ধর্ম। শাস্ত্রে বলা হয়েছে শিবজ্ঞানে জীব সেবা করবে। কেননা প্রত্যেক জীবের মাঝে ঈশ্বর বিদ্যমান। তাই বৃক্ষ-লতা, পাখ-পাখালি পরিচর্যা করাও সেবার অংশ। এ প্রসঙ্গে স্বামী বিবেকানন্দ বলেছেন 'জীবে প্রেম করে যেই জন সেই জন সেবিছে ঈশ্বর'।
পারিবারিক জীবনে তথা সামাজিক জীবনে সেবার গুরুত্ব অপরিসীম। পরিবারের প্রত্যেক সদস্য একে অপরকে যথাযথভাবে সেবা করা উচিত। সমাজের প্রত্যেক মহান ব্যক্তিই সেবাপরায়ণ। চিকিৎসক রোগীকে সেবার মাধ্যমে সুস্থ করলে সেখানেই তার সার্থকতা। গরিব-দুঃখী, অনাথকে সেবা করলে মূলত ঈশ্বরকে সেবা করা হয়। মাতৃভূমি আমাদের মা। মায়ের মতো মাতৃভূমিকে আমাদের সেবা করতে হবে।
আমরা পরিবারের সকল সদস্যসহ আত্মীয়-স্বজন, সমাজের সবাইকে সাধ্যমতো সেবা করব। বৃক্ষ-লতাসহ প্রতিটি জীবকে ঈশ্বরজ্ঞানে সেবা করব। বিভিন্ন সেবামূলক কাজে সম্পৃক্ত থাকব।